এই ঈদে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান যে দুটো ছবি নিয়ে হাজির হয়েছেন, এর মধ্যে ‘অহংকার’ একটি। এটি পরিচালনা করেছেন অসংখ্য ছবির নির্মাতা শাহাদাৎ হোসেন লিটন। তিনি একজন পরীক্ষিত পরিচালক। শাকিবকে নিয়ে তিনি এর আগেও অনেক ছবি নির্মাণ করেছেন। বেশ কিছুদিন পর আবার তার পরিচালনায় দেখা গেলো শাকিবকে। এবার শাকিবের সঙ্গী বুবলী। কাকতালীয় আর ইচ্ছাকৃতভাবে হোক, এর আগের ঈদুল আজহায়ও শাকিবের দুটো ছবির (বসগিরি, শুটার) নায়িকা ছিলেন বুবলী।
‘অহংকার’ ছবির গল্পটি আবর্তিত হয়েছে নিষ্ঠুর সুদ ব্যবসায়ী তরুণী মায়ার অহংকার ও তার আত্মউপলব্ধিকে ঘিরে। সে হিসেবে গল্পের সঙ্গে ‘অহংকার’ নামটি যথার্থ। কিন্তু গল্পটি বলতে গিয়ে কাহিনিকার আব্দুল মাবুদ কাউছার ও পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন লিটন ২০০৫ সালে মুক্তি পাওয়া দক্ষিণ ভারতের কান্নাড়া ছবি ‘অটোশংকর’-এর আশ্রয় নিয়েছেন। মূল ছবিটি পরবর্তীতে রিমেক হয়েছে তামিল (আনাভাকরি), হিন্দি (শিল্পা দ্য বিগ ডন) এবং মালয়ালাম (সারাপ্পা সুন্দরী) ভাষায়। কিন্তু ‘অহংকার’ ছবিতে এ গল্প ব্যবহার হয়েছে কোনও অনুমতি ছাড়াই, এটি অত্যন্ত দৃষ্টিকটু।
বেশ কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, শাকিব খানের ছবিগুলোর গল্প পুরোপুরি তাকে ঘিরে সাজানো হয়ে থাকে। পুরো গল্পকে একাই কাঁধে নিয়ে এগিয়ে যান তিনি। ‘অহংকার’ এক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম। গল্পটিতে প্রাধান্য পেয়েছে মায়া অর্থাৎ বুবলির চরিত্রটি। সুদের টাকা ওঠাতে গিয়ে মায়ার নিষ্ঠুরতা ও তার আত্মউপলব্ধি মূল বিষয়বস্তু। ছবির মূল টুইস্টও মায়াকে কেন্দ্র করেই।
এ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রটি বুবলী কতটা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন। আমি বলবো, তিনি মোটামুটি ভালোই করেছেন। তার বাচনভঙ্গি সুন্দর। মেকাপ-গেটাপ চরিত্র অনুযায়ী বিশ্বাসযোগ্য ছিল। কোথাও কোথাও ভালো অভিব্যক্তি দেখিয়েছেন। আবার কোথাও কোথাও ব্যর্থ হয়েছেন।